পরিকল্পনার আওতায় প্রতিটি পরিবারকে সপ্তাহে ৭ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ লিটার সয়াবিন তেল, ৫ কেজি আলু ও একটি করে সাবান সরবরাহ শুরু করেছে গ্রামীণ শিক্ষা।
প্রতিষ্ঠানটি গত দুই দশক ধরে দরিদ্র, সুবিধাবঞ্চিত মানুষ বিশেষ করে ছাত্র ও শিশুদের জন্য ছাত্রবৃত্তি ব্যবস্থাপনা কর্মসূচি, অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় কর্মসূচি, প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কর্মসূচি, কারিগরি প্রশিক্ষণসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পরিচালনা করে আসছে। গ্রামীণ শিক্ষার এসব কর্মসূচি থেকে এ পর্যন্ত প্রায় ৩ লাখ ৬০ হাজার দরিদ্র মানুষ প্রত্যক্ষভাবে উপকৃত হয়েছে।
গ্রামীণ শিক্ষার কর্মসূচিগুলোর মধ্যে অন্যতম হলো নগরীর মিরপুর ১০, ১১, ১২, ও ১৩ নম্বর সেকশন এলাকায় পরিচালিত অনানুষ্ঠানিক প্রাথমিক বিদ্যালয় বা বস্তি স্কুল।
এসব এলাকায় গ্রামীণ শিক্ষা ৩৯টি স্কুল পরিচালনা করছে যেখানে বস্তির প্রায় দেড় হাজার শিশু পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষা গ্রহণ করছে।
এসব শিশুদের একটি অংশ পিতৃহীন, কেউ পিতৃ-মাতৃহীন এবং প্রায় সবার অভিভাবকই গৃহপরিচারিকা, দিনমজুর, ভ্যানচালক বা হকার জাতীয় পেশায় নিয়োজিত।
সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণ সৃষ্ট পরিস্থিতিতে দরিদ্র এ পরিবারগুলোর অনেকেই চরম আর্থিক সংকটে পড়েছে। গ্রামীণ শিক্ষা এ ধরনের কিছু পরিবারের মাঝেই খাদ্য সহায়তা সরবরাহ শুরু করেছে।
প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তা-কর্মচারীরা নিজস্ব উদ্যোগে এ জরুরি খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি শুরু করার পর গ্রামীণ পরিবারেরই অন্যতম প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ কল্যাণ এ কর্মসূচিতে অর্থায়ন করতে এগিয়ে এসেছে।
উল্লেখ্য, মিরপুর বস্তি এলাকা ছাড়াও গ্রামীণ শিক্ষা সিংগাইরে গ্রামীণ শিক্ষার প্রি-স্কুল কর্মসূচি এলাকায় ৪৯ জন এতিম ও হতদরিদ্র শিশু ও নারী-পুরুষকে তিন মাসের জন্য জরুরি খাদ্য সহায়তা সরবরাহ করছে।
কোনো ধরনের অনুষ্ঠান ছাড়াই উপকারভোগীদের কাছে সরাসরি এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দিচ্ছে গ্রামীণ শিক্ষা।